পৃথিবীতে বাবা মানে এক অন্য রকম জগত, একটা বটগাছ আর একটা অন্য পৃথিবী। যে পৃথিবীতে শুধু ভালোবাসা থাকে । আর একটা মেয়ের জন্য তার বাবা মানে হিরো । একবার ভাবুন তো সেই বাবাই যদি তার নিজের মেয়েকে নিজের তৈরি করা জেল এর ভেতর বন্দী করে রেখে ২৪ বছর ধরে রেপ করে তাহলে কেমন হবে ? একবার ভাবুন তো বাবা তার নিজের মেয়েকে ২৪ বছর ধর্ষন এর পর ৭ জন সন্তানের জন্ম দেয় তবে কেমন হবে? খুব অবাক লাগছে তাই না ? ভাবছেন এটা হয় নাকি । তাও আবার ২৪ বছর জেল এ বন্দী ? জী হ্যা, এমনটাই হয়েছিলো অস্ট্রীয়াতে । খুব ছোট করে ঘটনাটি নিচে বিশ্লেষন করার চেষ্টা করছি ।
সালটা ছিলো ১৯৮৪ সাল। আজ থেকে যদি বলি তবে ৩৭ বছর আগের ঘটনা। অস্ট্রিয়াতে একটা পরিবার বাস করতো । ফ্রিজল ফেমিলি নামে পরিচিত ছিলো তারা । জোসেফ ফ্রিজল, মারিয়া ফ্রিজল এর ছিলো ২টি কন্যা সন্তান। দুই কন্যার মধ্যে সবচেয়ে সুন্দরী ছিলো এলিসাবেথ ফ্রিজল। এলিসাবেথ ফ্রিজল একটু এক রোখা সভাবের মেয়ে ছিলো এবং একটু ত্যারা প্রকৃতির মেয়ে ছিলো । যেটা তার বাবা জোসেফ ফ্রিজল কোন ভাবেই মেনে নিতে পারতো না । এলিসাবেথ এর বয়স যখন ১১ বছর তখন থেকেই তার বাবা জোসেফ তার মেয়ে এলিসাবথ কে মারধর করতো এবং এর পর তাকে খারাপ ভাবে স্পর্শ করে তার ব্যাথা জায়গায় মলম দিয়ে দিতো । এলিসাবেথ ব্যাপারটা বুঝতে পারতো না সেই সময় । ধিরে ধিরে সময় গড়িয়ে যায় এলিসাবেথ এর বয়স ও দিন দিন বারতে থাকে ।
এলিসাবেথ এর বয়স যখন ১৭ বছর তখন এলিসাবেথ একটা ছেলের বন্ধুর প্রেম এ জড়িয়ে পড়ে। যেটা তার বাবা জোসেফ মোটেও পছন্দ করতো না । একদিন এলিসাবেথ বাবার কাছে বায়না করে যে সে পিকনিক এ যাবে বন্ধুবান্ধব এর সাথে । বাবা নাকোচ করে দিলে এলিসাবেথ ঘর থেকে পালিয়ে গিয়ে তার প্রেমিক এর সাথে রাত কাটিয়ে বাসায় ফিরে দিনের বেলা । তখন জোসেফ মানে তার বাবা ব্যাপারটা লক্ষ করে । এর পর বাসায় ফিরে এলিসাবেথ তার মা কে সব খুলে বলে যে সে তার ১৮ বছর পুর্তি হলেই অস্ট্রিয়া থেকে অন্য শহরে যাবে সেখানে গিয়ে জব করবে । এই কথাগুলো তার বাবা জোসেফ শুনে ফেলে । আর এরপরেই তার বাবা ফন্দি পাতে যে যেভাবেই হোক না কেন, তার মেয়েকে সে কোন ভাবেই যেতে দিবে না অন্য শহরে । তাই সে তার নিজের বাড়ীর বেসমেন্ট মানে আমরা যেটাবলি গ্যারেজ এ একটা আলাদা কোয়ার্টার বানায় । ধিরে ধিরে সে চিন্তা করে যে তার মেয়েকে সে তার নিজের বাসার বেজমেন্ট এই আটকে রাখবে । এর কিছুদিন পর তার বাবা এলিসাবেথকে বলে তুমি একটু আমাকে হেল্প কর বেজমেন্ট এ একটা টেবিল নামাতে হবে । এলিসাবেথ ভালো মনেই তার বাবাকে হেল্প করে । এর পর বেজমেন্ট এর ভেতরে যখন আলাদা আলাদা থাকার ২টা ঘর দেখে এলিসাবেথ সাথে সাথে তার বাবাকে বলে "তুমি বেজমেন্ট এর ভেতরে ঘর বানিয়েছো ? আমি তো জানতাম ই না ।" এর পর এলিসাবেথ কে নিয়ে ঘড়ের ভেতরে প্রবেশ করে বাবা জোসেফ , এর পর জোসেফ তাকে ঐ ঘড়ে বন্দী করে বাইরে থেকে তাকে আটকে দেয় ।
জোসেফ এর করা এই ঘরগুলোর ছিলো লোহার তৈরি গেট । গেট এ ছিলো অত্যাধুনিক লক , যেটা আলাদা পাসওয়ার্ড দিয়ে খোলা লাগতো । সেই গেটে থেকে কেউ মুক্তি পেতো না । জোসেফ ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার তাই তার জন্য এধরনের অত্যাধুনিক গেট তৈরি করাটা খুব একটা কষ্টের ছিলো না । তার নিজের করা এই কোয়ার্টারে ছিলো ৪টা রুম, টয়লেট, বেসিন, রান্নাঘর, এবং লিভিং রুম ২টা, আর অক্সিজেন আসা যাওয়া করার জন্য ছিলো ভেন্টিলেটর ব্যাবস্থা । আর প্রতিটা রুমেই ছিলো অত্যাধুনিক লকার সিস্টেম লোহার গেইট যেটার পাসওয়ার্ড জোসেফ ছাড়া আর কেউ জানতো না ।
এর পর এলিসাবেথ এর সাথে যা ঘটেছিলো তা হয়তো এই পুরো পৃথিবীর মানুষকে থমকে দিয়েছিলো । পুরো ঘটনাটি যেভাবে ঘটেছিলো এবং এর পর এলিসাবেথ এর সাথে কি কি হয়েছিলো কিভাবে হয়েছিলো তা জানতে পারবেন দর্ষকরা রেডিও শহরের বুধবারের বিশেষ আয়োজন রহস্যের শহরে । সাথে থাকবেন RJ জেফরী । এই ঘটনাটি শুনতে রেডিও শহরের ফেইসবুক পেইজ এর সাথেই থাকুন ।https://www.facebook.com/radioshohor
-রেডিও শহর
0 Comments